বাংলাদেশী কুইজিন !
হাজার বছরেরও পুরোনো বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। বাংলাদেশী কুইজিন বা রন্ধনশৈলী হলো রান্নার একটা শৈলী যা ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে বঙ্গে উৎপত্তি লাভ করেছিলো। প্রাচীন বঙ্গ অঞ্চল মানে বর্তমানের বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের বরাক ভ্যালীতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলে প্রধান খাবার ভাত এবং মাছের সাথে মাংস, সব্জি, ডাল দিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে এর খাদ্য সম্ভার। সব খাঁটি বাঙালি খাবারই এসেছে বাংলাদেশী রন্ধনশৈলী বা বাংলা কুইজিন হতে। ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ এই প্রবাদটি সেই হাজারো বছরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করে। ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ এটা বর্তমান সময়ের কথা নয়। বর্তমানে আমাদের সংস্কৃতি অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আগেকার দিনে যখন এত বিদেশি খাবারের প্রচলন ছিল না সে সময় বাঙালির সংস্কৃতি ছিল কিছুটা হলেও ভিন্ন। আমরা সবাই জানি যে প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালির প্রধান খাদ্য ছিল ভাত। সে সময় এই গোটা উপমহাদেশে নদী-নালাও ছিল প্রচুর। প্রকৃতির দানে এদেশে নদী বিধৌত উর্বর ভূমিতে প্রচুর পরিমান ফসল জন্মাত। বিশেষ করে ধান যেমন পাইজাম, নাজিরশাইল, কাটারিভোগ, বালাম, বিন্নি ইত্যাদি জাতের। অন্যদিকে নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় এদেশের সাগর, নদী, খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় এখানে । এর মধ্যে রয়েছে রূপচাঁদা, কোরাল, লাক্ষ্যা, লইট্যা, ছুরি, ফাইস্যা, রুই, কাতল, মৃগেল, ভেটকি, চিতল, বোয়াল, শোল, কৈ, শিং, মাগুরসহ আরও নানা জাতের মাছ রয়েছে। কাজেই তারা ধান চাষ করে ও মাছ ধরে জীবিকা উপার্জনের পথ বেছে নিত বেশির ভাগ। এ সহজলভ্য মাছ আর ভাত আমাদের প্রিয় খাবার, স্বল্প শ্রম ও ব্যয়ে অতি সহজে এগুলো পাওয়া যায় বলে জীবন ও জীবিকার জন্য এর ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের অনেক বেশি। আর ভাতের সঙ্গে যদি ইলিশ মাছ ভাজা হয়, তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই। আর তাই আমাদের মাছে-ভাতে বাঙালি বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের মাছ ও বিভিন্ন ধরনের চাল বাংলা কুইজিনের একটা বড় অংশ।
- বাংলাদেশী কুইজিনের ইতিহাস !
- প্রাচীন বাংলার কুইজিন !
- নবাব দের শাসন আমল !
- খ্রিস্টান এবং ইউরোপীয় দের প্রভাব !
- বিধবা নারী রীতির প্রভাব !
- আহারপদ্ধতি এবং ব্যবহৃত দ্রব্যাদি !
- কবি সাহিত্যিকদের ভাষায় প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক যুগ !
- চট্টগ্রাম বিভাগের খাবার
- খুলনা বিভাগের খাবার
- সিলেট বিভাগের খাবার
- বরিশাল বিভাগের খাবার
- ময়মনসিংহ বিভাগের খাবার
- রংপুর বিভাগের খাবার
- রাজশাহী বিভাগের খাবার
বাংলাদেশী কুইজিনের ইতিহাস !
প্রাচীন বাংলার কুইজিন !
প্রাচীন বাংলার আহারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল ভাত, মাছ, মধু, দুধ এবং সবজি । বঙ্গ অঞ্চলটি প্রাচীন হিন্দু ও বৌদ্ধ রাজত্বের সময় দক্ষিণ এশিয়ার একটি প্রশাসনিক ও বাণিজ্যিক অঞ্চল ছিল; এবং পরবর্তীতে মুসলিম শাসন আমলেও এটি একটি বাণিজ্যিক অঞ্চল ছিলো। বাঙালি খাবারের বিভিন্নতা এবং বিচিত্র্তা ব্যাপক ও বিশাল । বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবেশিত ও প্রস্তুতকৃত বিভিন্ন ধরনের খাবার ছাড়াও নিজের পরিবার অথবা আত্মীয়স্বজনদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পানীয়, আচার, পিঠা ইত্যাদি তৈরি করা হয়ে থাকে তাই বাংলা কুইজিনের পরিধি বিশাল।
নবাব দের শাসন আমল !
বিভিন্ন সময়ে বঙ্গদেশ মুসলিম নবাব ও সুলতানদের অধীনে শাসিত হয়েছে । ১৭১৭ সালে মোগল শাসন আমলে এ অঞ্চলের শাসনভার নবাব মুর্শিদ কুলী জাফর খান এর হাতে ন্যস্ত করা হয় । মোগলদের শাসন আমলে স্বাভাবিকভাবেই মোগল সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের পাশাপাশি রন্ধণপ্রণালী এবং খাদ্যাভাসের প্রভাব এ অঞ্চলে বসবাসরত বাঙালিদের উপর পড়ে । বর্তমান সময়েও বিভিন্ন মোগলাই খাবার যেমন: বাকরখানি, মোগলাই পরোটা, কাবাব, হালুয়া, বিরিয়ানী ইত্যাদি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উভয় স্থানেই ব্যাপক জনপ্রিয় ।
খ্রিস্টান এবং ইউরোপীয় দের প্রভাব !
চা এবং বিভিন্ন ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, যা এখন এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় খাবার, সেগুলো মূলত ক্রিশ্চিয়ান এবং অন্যান্য ইউরোপীয় কালচার তথা খাদ্যাভাসের সুস্পষ্ট প্রভাব । কলকাতায় ইহুদীদের বৃহৎ বেকারী যদিও আগের মত চলে না, তথাপি এর প্রভাব সারা বঙ্গদেশেই পরিলক্ষিত হয় ।
বিধবা নারী রীতির প্রভাব !
বঙ্গ অঞ্চলে বিধবা মহিলাদের উপর সবসময়ই কঠোর নীতি চালু ছিলো । যদিও ১৮২৯ সালে সতীদাহ প্রথা রোধ ও ১৮৫৬ সালে হিন্দু বিধবা বিবাহ আইন এর মাধ্যমে এর অনেকটাই রোধ করা গেছে, তবুও কিছু কিছু সামাজিক আচার এখনও চালু রয়েছে । বাল্য বিবাহ এবং কম গড় আয়ুর ফলস্বরূপ অনেক মহিলাই বিধবাতে পরিণত হয়- প্রায় ৩০ শতাংশ পরিবারে একজন বিধবা মহিলা রয়েছে, যারা বাড়ির ভিতরেই আবদ্ধ থাকে এবং রান্নাবান্নার কাজেই অধিক সময় ব্যয় করে থাকে । যদিও অধিকাংশ বাঙালি সম্প্রদায়ই মাছ মাংস খেতে পারতো, বিধবা মহিলাদের জন্য এটা ছিল একেবারে নিষিদ্ধ । এ কারণেই বিধবা মহিলাদের শুধুমাত্র নিরামিষ আহারের উপর নির্ভর করে নিরামিষ খাবার রান্নার এক বৃহৎ খাদ্য রেসিপি গড়ে উঠেছিলো। এ সম্পর্কে একজন বাঙালি লেখিকা চিত্রিতা ব্যানার্জী তিনি তার বইতে উল্লেখ করেন ।
আহারপদ্ধতি এবং ব্যবহৃত দ্রব্যাদি !
দৈনন্দিন আহারের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রতিবেলার খাবার পৃথকভাবে কিছু ভাত অথবা রুটিসহ প্রস্তুতকৃত তরকারির সাথে ভোজন করা হয়ে থাকে । বাঙালি খাবার রান্নার ক্ষেত্রে প্রধানত সরিষার তেল এবং সয়াবিন তেল ব্যবহৃত হয়ে থাকে । রান্নার ক্ষেত্রে প্রচলিত দ্রব্যাদি ও মশলা হচ্ছে হলুদ, মরিচ, আদা, রসুন, পেয়াজ, জিরা, লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি ইত্যাদি
কবি সাহিত্যিকদের ভাষায় প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক যুগ !
- কালো চাল - বিশেষ স্থানীয় জাতের ধান।
- বাদামী চাল - বিশেষ স্থানীয় জাতের ধান।
- লাল চাল - বিশেষ স্থানীয় জাতের ধান।
- ভাত - সাদা ভাত বা প্রধান খাবার।
- পান্তা ভাত - গাঁজানো চাল, দই, লবণ।
- বিরিয়ানি - ভাত, মাংস, আলু এবং মশলার বিশেষ স্থানীয় বৈচিত্র্য।
- ভুনা খিচুড়ি - গরুর মাংস/মুরগি/মাটনের সাথে ভাত।
- মোরগ পোলাও -মুরগির সাথে কালিজিরা, চিনিগুড়া, ইছাগুড়ার মতো উন্নত বাংলাদেশি জাতের চাল।
- কাচ্চি বিরিয়ানি - মাটনের সাথে বিরিয়ানি।
- পোলাও - ভাত, মাংস, আলু এবং মশলার বিশেষ স্থানীয় বৈচিত্র্য।
- তেহারী - ভাত, মাংস, আলু এবং মশলার বিশেষ স্থানীয় বৈচিত্র্য।
- সবজি (তরকারি) - বিভিন্ন সবুজ বা অন্যান্য সবজি।
- আলু ভর্তা - আলু এবং শুকনো মরিচ দিয়ে তৈরি খাবার।
- বেগুন ভর্তা - ভর্তা করা বেগুন দিয়ে তৈরি পদ, বাবা ঘানুশের সাথে মিল রয়েছে।
- লাউ চিংড়ি - লাউ এবং চিংড়ি দিয়ে তৈরি মশলাদার তরকারি।
- লাল শাক ভাজা - রান্না করা লাল শাক।
- আমের আচার - সবুজ আম দিয়ে তৈরি আচার।
- রুটি - চাপাতি নামেও পরিচিত একটি রুটি যা বাংলাদেশ থেকে উদ্ভূত হয়।
- চিংড়ি মালাই - তরকারি: চিংড়ি, নারকেল, সরিষা।
- হরিওঃ মাছ - সোনালি সরিষা মাছের তরকারি।
- ইলিশ ভাজা - ভাজা ইলিশ (ইলিশ মাছ)।
- কোই মাছের কারি - কোই মাচ চড়াই পার্চ কারি।
- মাছের ঝোল - মাছ ও বিভিন্ন মশলা দিয়ে তৈরি তরকারি।
- মাগুর মাছের ঝোল - মাগুর মাছের তরকারি।
- রুই ভাজা - ভাজা রুই মাছ, বাংলাদেশের একটি সাধারণ খাবার।
- শিং মাছের ঝোল -শিং মাছের তরকারি।
- ষোড়শ ইলিশ - সরিষা ও মশলা দিয়ে ইলিশ ইলিশের তরকারি।
- শুটকি ভুনা - রান্না করা শুকনো মাছ।
- গরুর কালা ভুনা - গরুর মাংস (বা মাটন) তরকারি, বাংলাদেশীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
- গরুর মাংসের তরকারি - বাংলাদেশে প্রচলিত গরুর মাংসের তরকারি।
- গোরুর ভুরি ভাজা/ভুনা - দেশীয় মশলা দিয়ে গরুর মাংসের পেট দিয়ে তৈরি খাবার।
- মুরগির রোস্ট - বাংলাদেশী শৈলীর মুরগির রোস্ট। ঘি এবং সুগন্ধি মশলাযুক্ত মুরগির মাংসের পদ।
- মুরগির তরকারি - বাংলাদেশে প্রচলিত মুরগির তরকারি।
- মাটন কারি - বাংলাদেশে সাধারণ মাটন কারি।
- ডাল - মসুর ডাল।
- হালিম - গরুর মাংসের সাথে বিভিন্ন ধরনের মসুর ডাল দিয়ে তৈরি একটি জনপ্রিয় খাবার। হালিমের বাংলাদেশি সংস্করণ হায়দ্রাবাদের থেকে একেবারেই আলাদা।
- মিষ্টি ছোলার ডাল -বাংলা ছোলা, নারকেল এবং চিনি দিয়ে তৈরি তরকারি।
- বোরহানি - শসা জাতপানীয়।
- লস্সি - দইজাত পানীয়।
- ভাপা পিঠা - বাদামী চিনির সর বা গুড়ের সাথে তাজা মাটির চালের আটা দিয়ে তৈরি পিঠা।
- নকশি পিঠা - নকশা করা চালের আটার পিঠা।
- পুলি পিঠা - নারকেল এবং গুড় দিয়ে তৈরি চালের গুড়ার পিঠা।
- চমচম মিষ্টি - কুটির পনির, ময়দা, চিনির শরবত, টাঙ্গাইল জেলা থেকে উদ্ভূত।
- কুমিল্লার রসমালাই - একটি জনপ্রিয় মরুভূমি। কুমিল্লা শহরের রসমালাই সবচেয়ে জনপ্রিয়।
- ফালুদা - বিভিন্ন দ্রব্য দিয়ে তৈরি।
- লাড্ডু - নারকেল মিষ্টি।
- জিলাপি - ময়দা এবং সিরা দিয়ে তৈরি।
- মিষ্টি দোই - দই, চিনির শরবত এবং/অথবা গুড়।
- মুড়ি লারু - মিষ্টি।
- পায়েশ - দুধ, চাল এবং কখনও কখনও গুড় দিয়ে তৈরি মিষ্টি।
- পেদা - মিষ্টি।
- রসগোল্লা - কুটির পনির, ময়দা এবং চিনির সিরাপ দিয়ে তৈরি মিষ্টি।
- সন্দেশ - দুধ এবং চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টি।
- চটপটি - পথখাবার, বাড়িতেও তৈরি হয়ে থাকে।
- ফুচকা - বাংলাদেশে বিশেষ করে ঢাকায় একটি সাধারণ এবং জনপ্রিয় রাস্তার নাস্তা।
- ডিমের চপ - ডিম থেকে তৈরি খাবার।
- দই পুরি -একটি সাধারণ পথ-জলখাবার।
- হালিম - গরুর মাংসের সাথে বিভিন্ন ধরনের মসুর ডাল দিয়ে তৈরি একটি জনপ্রিয় খাবার। হালিমের বাংলাদেশি সংস্করণ হায়দ্রাবাদের থেকে একেবারেই আলাদা।
- ঝালমুড়ি - ভাজা চাল এবং অন্যান্য অনেক মশলা দিয়ে তৈরি।
- মোঘলাই পরোট - এটি একটি নরম ভাজা রুটি যা কিমা (মাংসের কিমা), ডিম, পেঁয়াজ এবং গোলমরিচ দিয়ে তৈরি করা হয়; বা একই জিনিস দিয়ে ভরা পরোটা ।
- পুরী - ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি।
৬৪ জেলার বিখ্যাত খাবারের তালিকা :
ঢাকা বিভাগের খাবার-
- ঢাকা জেলাঃ বাকরখানি, বিরিয়ানি।
- নরসিংদী জেলাঃ সাগরকলা।
- রাজবাড়ী জেলাঃ চমচম,খেজুরের গুঁড়।
- টাঙ্গাইল জেলাঃ চমচম।
- ফরিদপুর জেলাঃ খেজুরের গুঁড়।
- মাদারীপুর জেলাঃ খেজুরের গুঁড়, রসগোল্লা।
- শরীয়তপুর জেলাঃ বিবিখানা পিঠা।
- গাজীপুর জেলাঃ কাঁঠাল, পেয়ারা।
- গোপালগঞ্জ জেলাঃ রসগোল্লা,ছানার জিলাপি।
- মানিকগঞ্জ জেলাঃ খেজুরের গুঁড়।
- মুন্সীগঞ্জ জেলাঃ ভাগ্যকুলের মিষ্টি।
- নারায়ণগঞ্জ জেলাঃ রসমালাই।
- কিশোরগঞ্জ জেলাঃ বালিশ মিষ্টি।
চট্টগ্রাম বিভাগের খাবার
- বান্দরবন জেলাঃ তামাক, হিল জুস।
- রাঙামাটি জেলাঃ আনারস, কাঁঠাল,কলা।
- চট্টগ্রাম জেলাঃ মেজবান, শুটকি।
- কক্সবাজার জেলাঃ মিষ্টিপান।
- চাঁদপুর জেলাঃ ইলিশ।
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাঃ তালের বড়া,ছানামুখী, রসমালাই।
- কুমিল্লা জেলাঃ রসমালাই।
- নোয়াখালী জেলাঃ নারকেল নাড়ু,ম্যারা ও খোলাজা পিঠা।
- লক্ষ্মীপুর জেলাঃ সুপারি।
- ফেনী জেলাঃ মহিষের দুধের ঘি ও খন্ডলের মিষ্টি।
খুলনা বিভাগের খাবার
- যশোর জেলাঃ খই, জামতলার মিষ্টি, খেজুরের গুঁড়।
- খুলনা জেলাঃ সন্দেশ, গলদা চিংড়ি,নারিকেল।
- বাগেরহাট জেলাঃ চিংড়ি,সুপারি।
- চুয়াডাঙ্গা জেলাঃ পান,তামাক, ভুট্টা।
- ঝিনাইদাহ জেলাঃ হরি ও ম্যানজারের ধান।
- কুষ্টিয়া জেলাঃ তিলের খাজা।
- মাগুরা জেলাঃ রসমালাই।
- মেহেরপুর জেলাঃ মিষ্টি সাবিত্রি ও রসকদম্ব।
- নড়াইল জেলাঃ পেড়ো সন্দেশ, খেজুর গুঁড় ও রস।
- সাতক্ষীরা জেলাঃ সন্দেশ।
সিলেট বিভাগের খাবার
- সিলেট জেলাঃ চা,কমলালেবু, সাতকড়ার আচার।
- হবিগঞ্জ জেলাঃ চা।
- সুনামগঞ্জ জেলাঃ দেশবন্ধুর মিষ্টি।
- মৌলভীবাজার জেলাঃ ম্যানেজার স্টোরের রসগোল্লা,খাসিয়া পান।
এছাড়া আরো বিখ্যাত খাবার হলো তুশা শিন্নি,হান্দেশ,নুনর বড়া,হুটকি শিরা,ফাল,চিকেন টিক্কা মাসালা,খিচুড়ি,বিরইন ভাত,আখনি,সাতকরা,জর্দা,কালিয়া,কোরমা,চুঙ্গা পিঠা,হাঁস বাশ,সাত রং চা।
বরিশাল বিভাগের খাবার
- বরগুনা জেলাঃচুইয়া পিঠা,মুইট্টা পিঠা, চ্যাপা পিঠা, বিসকি,আল্লান।
- বরিশাল জেলাঃ আমড়া।
- ঝালকাঠি জেলাঃ আটা।
- পিরোজপুর জেলাঃ পেয়ারা,নারিকেল, আমড়া,সুপারি।
- পটুয়াখালী জেলাঃ মহিষের দই।
- ভোলা জেলাঃ নারিকেল, দই।
ময়মনসিংহ বিভাগের খাবার
- ময়মনসিংহ জেলাঃমুক্তাগাছার মন্ডা।
- জামালপুর জেলাঃ ছানার পোলাও ও পায়েস।
- শেরপুর জেলাঃ ছানার পায়েস ও চপ।
- নেত্রকোনা জেলাঃ বালিশ মিষ্টি।
রংপুর বিভাগের খাবার
- রংপুর জেলাঃ তামাক, ইক্ষু।
- ঠাকুরগাঁও জেলাঃ সূর্যপুরী আম।
- পঞ্চগড় জেলাঃ ডিম ভূনা।
- নীলফামারী জেলাঃ ডোমারের সন্দেশ।
- লালমনিরহাট জেলাঃ রস।
- কুড়িগ্রাম জেলাঃ চমচম।
- গাইবান্ধা জেলাঃ রসমঞ্জরী।
- দিনাজপুর জেলাঃ লিচু,কাটারিভোগ চাল,চিড়া।
রাজশাহী বিভাগের খাবার
- রাজশাহী জেলাঃ আম।
- সিরাজগঞ্জ জেলাঃ পানিতোয়া।
- পাবনা জেলাঃ ঘি।
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাঃ আম, শিবগঞ্জের চমচম, কলাই-য়ের রুটি।
- বগুড়া জেলাঃ দই।
- নাটোর জেলাঃ কাঁচাগোল্লা।
- জয়পুরহাট জেলাঃ চটপটি।
- নওগাঁ জেলাঃ চাল,সন্দেশ। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের খাবার রয়েছে যা ঐসকল এলাকাকে করেছে গৌরবমন্ডিত। আজ এ পর্যন্ত পরবর্তীতে আরো নানা ধরনের তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।