বাটার কুকিজ রেসিপি | Butter Cookies Bangla Recipe

বাটার কুকিজ তৈরির রেসিপি | বাটার কুকিজ বিস্কুট

 Atika Manwar

বাটার কুকিজ রেসিপি


 বাটার কুকিজ !

বাটার কুকিজ এর উৎপত্তি ডেনমার্কে। এটিকে  ড্যানিশ বিস্কুট বলা হয়।  এই কুকিজটি একটি পুরনো ঐতিহ্য বটে। এটি ১১০০ সালে প্রথম তৈরি করা হয়। ১৮০০ এর শেষের দিকে সকল ড্যানিশ বাড়িতে   চুলা এমন ভাবে সজ্জিত ছিল যাতে করে এই বাটার কুকিজ গুলো তারা সহজে বানিয়ে ফেলতে পারে। কারণ এটি ছিল তাদের অনেক প্রিয় একটি মুখরোচক খাবার। বিশ্বের কিছু অংশে, যেমন ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকা, বাটার কুকি প্রায়ই বড়দিনের সময়ে পরিবেশন করা হয়।  বাটার কুকিও হংকং-এ একটি খুব জনপ্রিয় উপহার, বিশেষ করে চীনা নববর্ষের সময়।


বাটার কুকিজ তৈরির রেসিপির উপাদান :

★মাখন                      ২৫০গ্রাম 

★পাউডার  চিনি         ১৩০গ্রাম

★লবন                          ১/২চা-চামচ

★ডিম                               ১ টি

★ময়দা                       ২৭০গ্রাম

★কর্নফ্লাওয়ার               ৭০গ্রাম

★গুরা দুধ                       ২০গ্রাম

★ ভেনিলা এসেন্স            ১/২ টেবিল চামচ 


বাটার কুকিজ তৈরির প্রস্তুত প্রণালী :

প্রথমত, 

 একটি বাটিতে রুম টেম্পারেচারে রাখা মাখন নিয়ে নেই। এটিকে ইলেকট্রিক বিটার দিয়ে ফ্লাফি হওয়া পর্যন্ত বিট করে নেই (এটি আমরা হ্যান্ড উইসক দিয়েও করতে পারি কিন্তু এতে সময় বেশি লাগে) 

 তারপর,

  এর সাথে পাউডার সুগার অথবা চিনি (অবশ্যই পাউডার সুগার হতে হবে, চাইলে বাসায় ব্লেন্ডারে আস্ত চিনি ব্লেন্ড করে গুড়া করে নিতে পারি) এটিও মাখনটির সাথে বিট করে নেই যতক্ষণ না চিনি গুলো গলে যাচ্ছে এবং আরও ফ্লাফি হয়ে যাচ্ছে। 

  দ্বিতীয়ত,

  একটি ডিম ফাটিয়ে সেটি আলাদা বিট করি (যাতে ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম একসাথে মিলে যায়) 

  তারপর একটু একটু করে মাখন এবং চিনির মিশ্রণে 

  ঢালতে থাকি এবং তা বিট করতে থাকি। যতক্ষণ না  মাখনের মিশ্রণ এবং ডিম মিশে যায়। এবং এর সাথে ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে দেই।

তৃতীয়ত, 

সকল শুকনো উপকরণ গুলো ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, গুঁড়ো দুধ, লবণ (মাখন সল্টেড হলে লবণ আলাদাভাবে দেওয়ার দরকার নেই) একসাথে মিশিয়ে তা ছেকে নেই(এই ধাপটি কোনভাবেই কোনভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না)। 

তারপর, 

মাখন এর মিশ্রণ এবং শুকনো উপকরণ গুলো একসাথে মিশিয়ে নেই  স্প্যাচুলার(এক রকমের সিলিকনের চামচ)সাহায্যে। (বাসায় যেকোনো চামচ দিয়ে এই কাজটি করে ফেলা যায়)। এইতো 

হয়ে গেল আমাদের কুকি ডোহ

চতুর্থ,

একটি পাইপিং ব্যাগে মিশ্রনটি ভোরে নেই(যেকোনো ধরনের নজেল আমরা ব্যবহার করতে পারি তবে স্টার নজেলটা বেশি ব্যবহার করা হয়)।

তারপর, 

একটি ট্রেতে বেকিং শীট বিছিয়ে নেই  এবং অন্য দিক দিয়ে ওভেনে ১৮০° ডিগ্রি তে  প্রিহিট করতে রেখে  দেই ১০ মিনিটের  জন্য। 

এখন ট্রেতে পাইপিং   ব্যাগের সাহায্যে কুকি ডোহটি সাজিয়ে নিই। ১০ মিনিটের জন্য ফ্রিজারে রেখে দেই।(তাহলে কুকি ক্রিসপি হবে) 

তারপর তা ওভেনে দিয়ে দেই ১৫-২০মিনিটের জন্য(প্রথমের ৫ মিনিট ১৮০°তে এবং  পরের  ১০ মিনিট  ট্রেটি অপরদিকে করে বেক করি)।

এটি বের করে ঠান্ডা হতে দেই এবং তা পরিবেশন করি। (গরম থাকাকালীন কুকি  নরম থাকে  তাই ঠান্ডা হওয়ার পরই  ধরতে হবে) 


বিদ্রঃ

 ★(পাইপিং ব্যাগ বা নজেল না থাকলে ভালো ধরনের পলিথিন বা প্লাস্টিকে কুকি ডোহ   সুন্দর করে লম্বা করে  মুড়িয়ে ফ্রিজারে রাখি  এবং তা শক্ত হলে তা বের করে প্লাস্টিক থেকে খুলে কেটে পিস পিস করে ট্রেতে  সাজিয়ে ফেলি। অথবা  পাতলা করে গোল করে  বেলে  কুকি কাটার দিয়ে কেটে  সাজিয়ে ফেলতে পারি এবং একই নিয়মে  বেক করতে পারি।। এবং এটি আমরা সর্বোচ্চ ১০ থেকে  ১৫ দিন  এয়ার টাইট কন্টিনারে সংরক্ষণ করতে পারি)


★(মাখনের কুকির সবচেয়ে মৌলিক কোনো স্বাদ নেই, তবে সেগুলি প্রায়শই ভ্যানিলা, চকোলেট এবং নারকেল দিয়ে স্বাদযুক্ত হয়। এগুলি বিভিন্ন আকারে যেমন বৃত্ত, বর্গাকার, ডিম্বাকৃতি, রিং এবং প্রিটজেল-এর মতো আকারে আসে এবং মার্বেল, চেকার্ড বা প্লেইন সহ বিভিন্ন ধরণের উপস্থিতি সহ।  পাইপিং ব্যাগ ব্যবহার করে, পেঁচানো আকার তৈরি করা যেতে পারে। ) 


এই বাটার কুকিসটি ছোট বড় সবাই পছন্দ করেন।এটি ড্যানিশ দের প্রিয় খাবার হলেও এখন  এটি পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে গিয়েছে।। এমনকি বড় বড় বেকারিতে এবং হোটেল গুলোতে  এগুলো চড়া দামেও বিক্রি হচ্ছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post