শেফ হতে চাই?
তাহলে এই সাবজেক্টগুলা শেখা জরুরি!
জানেন তো, শুধু রেসিপি মুখস্থ করলে শেফ হওয়া যায় না।
আসলে রান্না তো একটা শিল্প, আবার বিজ্ঞানও বটে।
আর তাই শেফ হতে চাইলে কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট একটু একটু করে হলেও শেখা জরুরি।
অনেকেই ভাবে শেফ মানে চুলার পাশে দাঁড়ায় আর “টেস্টি” কিছু বানায় —
আসলে এর পেছনে অনেক ধরনের জ্ঞান কাজ করে।
চলেন আজকে একটু ভেঙে বলি — কোন কোন বিষয়গুলো একজন ভবিষ্যৎ শেফের শেখা দরকার।
১. Food Science (খাবারের বিজ্ঞান)
রান্না মানে কেবল “মাখামাখি” না —
এইটা আসলে একটা কেমিক্যাল প্রক্রিয়া।
আপনি যেই মাংসটা রোস্ট করছেন, সেটা কেন নরম হয় বা কখন শক্ত হয় —
এটা জানার জন্য বেসিক ফুড সায়েন্স শেখা দরকার।
এইটা আপনাকে বুঝতে শেখাবে:
কোন তাপমাত্রায় কোন উপাদান কেমন রিঅ্যাক্ট করে।
২. Nutrition (পুষ্টি বিজ্ঞান)
আপনি শুধু টেস্টি রান্না করলে হবে না,
সেটা পুষ্টিকর কি না, সেটা জানাটাও জরুরি।
ভবিষ্যতে যদি রেস্টুরেন্ট চালাতে চান বা হেলদি মেনু বানাতে চান,
তাহলে ন্যুট্রিশন জানাটা বিশাল বড় বিষয়।
৩. Knife Skills ও Food Prep
ছুরি ধরা, কাটাকুটি করা, আর রান্নার আগে সব সাজিয়ে রাখা —
এইটাকেই বলে "Mise en Place"।
এই সাবজেক্টটা শেখা মানে সময় বাঁচানো + পেশাদারিত্ব শেখা।
রান্না শুরু করার আগেই কীভাবে নিজের কিচেন রেডি রাখবেন — এই শিক্ষা খুবই দরকারি।
৪. Culinary Techniques
বয়েল করা, সোটে করা, গ্রিল করা, ব্ল্যাঞ্চ করা...
এইসব টেকনিক যদি না জানেন, তাহলে আপনি রেসিপি বানাতে পারবেন,
কিন্তু কুকিংকে বুঝতে পারবেন না।
শেখা দরকার কীভাবে কোন টেকনিকে কোন খাবার বেস্ট হয়।
৫. Hygiene ও Food Safety
শেফ মানেই শুধু সুস্বাদু না —
সেফ এবং হাইজিনিক খাবার পরিবেশন করাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
খাবার বানানোর সময় কোন ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়, কোনটা রুখতে কী করতে হয় — এই সাবজেক্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৬. Time & Stress Management
একটা কিচেনে অনেক সময় চাপ থাকে —
দ্রুত, নিখুঁত আর ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে হয়।
এই স্কিল শিখতে হয় আলাদা করে, কারণ এটা ক্লাসে পড়ানো না হলেও
একজন ভালো শেফের সবচেয়ে বড় গুণগুলোর একটা।
৭. Menu Planning & Costing
শুধু রান্না জানলে হবে না, যদি আপনি শেফ হিসেবে কাজ করতে বা বিজনেস চালাতে চান —
তাহলে শিখতে হবে:
কীভাবে বাজেটের মধ্যে মেনু বানানো যায়
কোন খাবারে কত কস্ট পড়ে
লাভে থাকা সম্ভব কি না
এইটা আসলে শেফিং + বিজনেস দুই মিলে যাওয়ার জায়গা।
৮. Communication & Teamwork
আপনি একা কিচেনে যুদ্ধ করতে পারবেন না।
কমি, সহশেফ, সার্ভার — সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হয়।
এই জন্য শেখা লাগে কিভাবে টিমের সাথে বোঝাপড়া করে রান্নাঘর চালাতে হয়।
এখন প্রশ্ন হলো — এই সব শেখা যাবে কোথা থেকে?
ভালো কালিনারি স্কুলে ভর্তি হলে এদের বেশিরভাগই শেখানো হয়।
সবচেয়ে বড় কথা: শেখার আগ্রহ থাকতে হবে, প্রতিদিন একটু করে শিখতে হবে।
শেফ হওয়া মানে কেবল “রাঁধুনি” না —
শেফ মানে একজন লিডার, এক্সপার্ট আর ক্রিয়েটিভ প্রফেশনাল।
তাই এই বিষয়গুলো একটু একটু করে শিখে রাখলে —
আপনি শুধু রান্না না, বরং ক্যারিয়ারেও এগিয়ে যাবেন অনেক দূর।
আপনি কোন কোন সাবজেক্ট শিখেছেন বা শিখতে চান?
নাকি কিছু জানতে চান?
কমেন্টে লিখে জানান — আমি উত্তর দিতে রেডি আছি!