শেফের ইউনিফর্ম পরলেই পেশাদার হওয়া যায় না
আজকের এই পোস্টে কিছু কথা বলবো, কেউ হয়তো কষ্ট পাবেন। কিন্তু সত্যিটা না বললে লাভ কি?
শেফ হতে কতদূর পড়াশোনা করতে হয়?
আমাদের দেশে সাধারণত এসএসসি পাস করলেই শেফ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। আর ঝামেলাটা শুরু হয় এখান থেকেই।
অনেকে কোনোমতে মেট্রিক পাস করেই শেফ কোর্সে ভর্তি হয়, তারপর আর পড়াশোনা এগোয় না, আগ্রহও থাকে না।
শেফ কিন্তু আন্তর্জাতিক পেশা। এখানে আপনাকে নানা দেশের গেস্টের সাথে কথা বলতে হবে। অথচ পড়াশোনার লেভেল যদি শুধু মেট্রিক পর্যন্ত হয়, আর ভাষার জ্ঞানও না থাকে—তাহলে সেটা একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
কিছুদিন আগে এক শেফের পোস্ট দেখলাম, সম্ভবত উনি এক্সিকিউটিভ শেফ। ফ্রিজারের দরজা বন্ধ হচ্ছিল না, ইংরেজিতে লিখেছেন “No Shutdown”। এটা লিখে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন। ছোট একটা উদাহরণ হলেও বোঝা যায়—নিজেকে আপগ্রেড না করলে কীভাবে সমস্যা তৈরি হয়।
ভারতের অনেক বড় শেফেরও পড়াশোনা খুব বেশি নয়, কিন্তু তারা নিজেদের শেখার মানসিকতা ধরে রেখেছে, সময়ের সাথে স্কিল বাড়িয়েছে। আমাদের দেশের অনেক শেফ কি সেইভাবে নিজেদের উন্নত করেছে? দুঃখজনকভাবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উত্তরটা না।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপ চালানো, বেসিক টেকনোলজি বোঝা—এসব অনেকেই পারেন না। অথচ এখন দুনিয়া চলে এআই দিয়ে। কিছুদিন আগে এআই-নির্ভর রেস্টুরেন্টও চালু হয়েছে।
বিদেশে কাজ করা আমাদের শেফ আছে, কিন্তু তারা কিচেনের বাইরে কাজের জায়গাটা ঠিকমতো ধরতে পারছে না। একজন শেফের দায়িত্ব শুধু রান্না নয়, নিজের দেশের কালচার প্রেজেন্ট করাও তার দায়িত্বের অংশ।
তাহলে এখন কী করবো?
সহজ কথা—পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। টেকনোলজির ন্যূনতম বেসিক শিখতে হবে। খাবার নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে, এবং ভাষা শেখায় মন দিতে হবে।
শেষ কথা, শেফের ইউনিফর্ম পরে কিচেনে দাঁড়ানোই সব না—নিজেকে এমন জায়গায় নিতে হবে যেখানে তুমি রান্না, ভাষা, টেকনোলজি—সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ একজন পেশাদার হয়ে উঠবে।