আমি সব সময় বলি শেফ হওয়া সহজ কিছু না অনেক দায়িত্ব থাকে মাথার উপর, পুরো রেষ্টুরেন্ট টা চলে শেফের উপর ভর করে তাই থাকে শুধু রান্না করে দিয়ে দিলেই হবে না অনেক হিসাব নিকাশ ও জানতে ও বুঝতে হবে। বেশি কথা না বাড়িতে আসল কথায় আসি। আজ আমরা জানবো কস্ট কন্ট্রোল কি ও এটা কীভাবে করবেন?
১. মেনু পরিকল্পনা (Menu Planning)
খাবারের মেনু এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে উপকরণগুলো একাধিক ডিশে ব্যবহার করা যায়।
মৌসুমি ও লোকাল উপকরণ বেশি ব্যবহার করলে খরচ কমে যায়।
জনপ্রিয় ও লাভজনক আইটেমগুলোকে মেনুতে অগ্রাধিকার দিন।
২. পারচেজিং কন্ট্রোল (Purchasing Control)
নির্ভরযোগ্য সাপ্লায়ারের কাছ থেকে সঠিক দামে ভালো মানের পণ্য কিনতে হবে।
একসাথে বেশি পরিমাণে কিনলে ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়, তবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে, তাই স্টোরেজ ক্ষমতা অনুযায়ী কিনুন।
প্রতিদিন বাজারের দাম তুলনা করুন।
৩. স্টোরেজ ও ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট (Storage & Inventory)
FIFO (First In, First Out) পদ্ধতিতে স্টক ব্যবহার করুন।
রেফ্রিজারেশন ও ড্রাই স্টোরেজ সঠিকভাবে বজায় রাখুন।
সাপ্তাহিক ইনভেন্টরি চেক করুন যাতে চুরি, অপচয় বা নষ্ট হওয়া কমে।
৪. পোর্শন কন্ট্রোল (Portion Control)
প্রতিটি ডিশের নির্দিষ্ট রেসিপি ও ওজন মেনে চলুন।
রান্নাঘরে মাপার যন্ত্র ও স্কেল ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত খাবার পরিবেশন করলে খরচ বেড়ে যায় ও লাভ কমে।
৫. অপচয় নিয়ন্ত্রণ (Waste Control)
রান্নার সময় যতটা সম্ভব উপকরণ পুরোপুরি ব্যবহার করুন।
অতিরিক্ত খাবার প্রস্তুত না করা।
কাস্টমারের প্লেটে অবশিষ্ট খাবারের ডেটা বিশ্লেষণ করুন।
৬. শ্রম ব্যয় নিয়ন্ত্রণ (Labor Cost Control)
কর্মচারীর সংখ্যা ও শিফট ঠিকভাবে পরিকল্পনা করুন।
কাজের দক্ষতা বাড়াতে ট্রেনিং দিন।
অলস সময়ে অতিরিক্ত কর্মী না রাখুন।
৭. খরচ বিশ্লেষণ ও রিপোর্টিং (Cost Analysis & Reporting)
প্রতিটি মেনুর জন্য ফুড কস্ট পারসেন্টেজ হিসাব করুন।
দৈনিক ও মাসিক খরচের রিপোর্ট তৈরি করুন।
কোথায় খরচ বেড়েছে, সেটা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন।
৮. এনার্জি কস্ট কন্ট্রোল (Energy Cost Control)
রান্নাঘরে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি অপচয় বন্ধ করুন।
হাই এফিশিয়েন্সি কুকিং ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করুন।
কাজ শেষ হলে চুলা, ওভেন, ফ্রিজের দরজা ঠিকভাবে বন্ধ আছে কিনা নিশ্চিত করুন।
৯. মেনু ইঞ্জিনিয়ারিং (Menu Engineering)
কোন ডিশ বেশি লাভজনক এবং কোনটা কম লাভজনক, সেটি বিশ্লেষণ করুন।
কম লাভজনক বা সেল কম হওয়া আইটেম বাদ দিয়ে মেনু অপ্টিমাইজ করুন।
মেনুর জনপ্রিয় আইটেমগুলো প্রচারে গুরুত্ব দিন।
১০. সাপ্লাই চেইন সম্পর্ক (Supplier Relationship)
সাপ্লায়ারের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখলে দাম, ডেলিভারি টাইম ও পেমেন্ট শর্তে সুবিধা পাওয়া যায়।
জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত ডেলিভারি পাওয়ার জন্য একাধিক নির্ভরযোগ্য সাপ্লায়ার রাখুন।
নিয়মিত মান যাচাই করুন যাতে নকল বা নিম্নমানের পণ্য না আসে।
এইসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত লিখবো, কিভাবে করবেন, কম্পিউটারে ফরমেট ও ফরমুলা সেটআপ বানিয়ে দেখাবো সাথে থাকবেন। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন।
Tags:
new post